Posts

Showing posts from May, 2020

ওষুধ ছাড়াই নিয়ন্ত্রণে থাকবে ডায়াবেটিস ! জানেন কিভাবে?

Image
বং হেলথ খবর: ডায়াবেটিস হলে শরীরে ইনসুলিন হরমোনের নিঃসরণ কমে যায়। ফলে দেহের কোষে গ্লুকোজ পৌঁছাতে পারে না। ফলে রক্তে গ্লুকোজের পরিমাণ বেড়ে যায়। অতিরিক্ত   শর্করাযুক্ত খাবার ডায়াবেটিসের জন্য যেমন দায়ী। ডায়াবেটিস কখনও পুরোপুরি ভালো হয় না। তবে এই রোগ নিয়ন্ত্রণে রাখা যায়। খাদ্যাভাসের মাধ্যমে এটি নিয়ন্ত্রণে রাখা যায়। কালো জামের কথা আমরা সবাই জানি। এই কালো জামের দানা ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। জামের দানায় রয়েছে অত্যাবশ্যকীয় কিছু পুষ্টি উপাদান। যা ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করে। জামের পুষ্টিগুণ ১.জামের দানায় রয়েছে জ্যামবোসিন এবং জ্যাম্বোলিন নামক অত্যাবশ্যকীয় উপাদান। যা ধীরে ধীরে শর্করার মাত্রা নিয়িন্ত্রণ করতে সহায়তা করে ও শক্তিযোগায়। ২.জামের দানায় হঠাৎ রক্তে শর্করা বেড়ে যাওয়া নিয়ন্ত্রণ করে। এ ছাড়া শরীরে ইন্সুলিনের ভারসাম্য বজায় রেখে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে করে। ৩.জাম ফাইটোকেমিক্যাল সমৃদ্ধ যা শরীরের শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করতে এবং ইন্সুলিনের উৎপাদন সুনিয়ন্ত্রিত রাখতে সহায়তা করে। ৪.জামের দানায় থাকা জ্যাম্বোলাইন এবং জ্যাম্বোসিন উপাদানের জন্য তা ঔষধি গুণসম্পন্ন। এ ছাড়াও জামের দানায় রয়

উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা!চিন্তা নেই,ঘরোয়া পদ্ধতিতে হবে সমাধান

Image
বং হেলথ খবর :   উচ্চ রক্তচাপ বা হাইপারটেনশন খুব সাধারণ সমস্যা হলেও কখনও কখনও তা প্রাণ সংশয়ের কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে। অনিয়মিত ডায়েট, অতিরিক্ত ওজন, মানসিক চাপ এবং শরীরচর্চার অভাব- এ সবই উচ্চরক্তচাপ বা হাইপারটেনশনের অন্যতম কারণ।   চিকিত্‍সকদের মতে, জীবনযাত্রায় এবং খাদ্যতালিকায় সামান্য কয়েকটি পরিবর্তন আনতে পারলে ওষুধ ছাড়াই উচ্চ রক্তচাপ বা হাইপারটেনশনের মতো সমস্যা নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব। কিন্তু কী ভাবে? আসুন এ বিষয়ে সবিস্তারে জেনে নেওয়া যাক- ১) উচ্চ রক্তচাপ বা হাইপারটেনশনের মতো সমস্যা নিয়ন্ত্রণে আনতে প্রথমেই লবন খাওয়া কমাতে হবে। কারণ অতিরিক্ত লবন রক্তে মিশে শরীরে সোডিয়ামের ভারসাম্য নষ্ট করে। ফলে রক্তচাপ অস্বাভাবিক ভাবে বাড়তে থাকে। শুধু তাই নয়, শরীরে সোডিয়ামের ভারসাম্য বিঘ্নিত হলে বাড়তে পারে কিডনির সমস্যাও। তাই রান্নায় ছাড়া, খাবার পাতে কাঁচা লবন যতটা সম্ভব এড়িয়ে চলুন। সম্ভব হলে, রান্নাতেও কম লবন দিন। ২) কলাতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে পটাসিয়াম যা রক্তচাপ কমাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। দিনের যে কোনও সময়, সারাদিনে অন্তত একটা কলা খাওয়ার চেষ্টা করুন। ৩) হ

আনলক ওয়ান! লকডাউনের পর নিজেকে সুরক্ষিত রাখবেন যেভাবে

Image
বং হেলথ খবর :করোনার সংক্রমণ এড়াতে অনেকদিন ধরেই লকডাউন চলছে। তবে ধীরে ধীরে অনেকস্থানে লকডাউন শিথিল করার হচ্ছে ৷বিশেষঙ্গরা বলছেন, লকডাউন চলাকালীন তো বটেই, উঠে গেলেও নিজেকে সুরক্ষিত রাখতে কিছু সতর্কতা মেনে চলতে হবে। করোনার প্রতিষেধক বা ওষুধ আবিষ্কার না হওয়া পর্যন্ত বদলে ফেলতে হবে পুরনো জীবনযাপনের অনেকটাই। মাস্ক-সাবান-স্যানিটাইজার থাকবেই, সেখানে যোগ করতে হবে আরও অনেক কিছু। যেমন- ১. এই সময়টা বাইরের খাবার এড়িয়ে চলতে হবে। হুট করেই পছন্দের কোনো রেস্তোরাঁয় যাওয়া ঠিক হবে না। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, রান্না করা খাবারে এই ভাইরাসের অস্তিত্ব থাকে না ঠিকই, কিন্তু কী ভাবে খাবার প্যাক হচ্ছে, কী কী উপাদান দিয়ে রান্না হচ্ছে এ সব জানা যায় না। তাই সাবধান থাকাই ভালো। ২. বাজার-দোকান করার জন্য বাইরে যেতে হলে খুব দরকার না পড়লে বাড়িতে মোবাইল রেখে যান। যাদের অফিস করতে হয়, তারা মোবাইল রাখুন ব্যাগের মধ্যে। খুব দরকার না হলে ফোন বার করবেন না। মোবাইল থেকেও সংক্রমণ ছড়ায়। বাড়ি ফিরে অ্যান্টিসেপটিক লোশন বা স্যানিটাইজার দিয়ে মোবাইল মুছে নিন।  সেক্ষেত্রে তুলা বা নরম কাপড় ব্যবহার করতে পারেন। মোবাইলের কভার আলাদা করে সাবান

মশার কামড়ে এলার্জি-গায়ে জ্বর! সমাধানে রইল ঘরোয়া টিপস

Image
বং হেলথ :সম্প্রতি বেড়েছে মশার উপদ্রব। মশা শুধু শরীরের রক্ত খেয়েই ক্ষ্যান্ত হয় না। মশার কামড়ে ম্যালেরিয়া ও ডেঙ্গুর মতো রোগে মানুষ আক্রান্ত হন। এ ছাড়া মশার কামড় থেকে অনেক সময় ত্বকের বিভিন্ন সমস্যা দেখা দেয়। মশার কামড়ে শরীরে জ্বর, ত্বকের ক্ষত স্থান ফুলে ওঠে, লাল হয়ে যায়, চুলকায় এবং অনেক সময় এলার্জির সমস্যা দেখা দিতে পারে। মশার কামড় থেকে ত্বকে হওয়া এসব সমস্যায় ব্যবহার করতে পারেন কিছু ঘরোয়া উপাদান, যা আপনাকে স্বস্তি দেবে। যা করবেন ১. মশার কামড় থেকে যদি ব্যথা, জ্বালা ও ফোলাভাব দেখা দেয়, তবে সঙ্গে সঙ্গে ওই স্থানে বরফ চেপে ধরুন কিছুক্ষণ। এতে আরাম বোধ করবেন। ২. মধুতে রয়েছে অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি ও অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল, যা ত্বকের বিভিন্ন ধরনের সমস্যায় খুব উপকারী। প্রদাহ কমাতে অল্প পরিমাণে মধু মেখে রাখুন মশার কামড়ের স্থানে। কিছুক্ষণ পর ঠাণ্ডা জল দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। ৩. ত্বকের ক্ষত সারাতে ও ফোলাভাব কমাতে সাহায্য করে অ্যালোভেরা জেল। আক্রান্ত স্থানে অ্যালোভেরা জেল ঘষে দিন। ৪. ত্বকের ব্যথা কমিয়ে চুলকানি দূর করে বেকিং সোডা। অল্প বেকিং সোডা ও কয়েক ফোঁটা জল মিশিয়ে আক্রান্ত জায়গায় লা

সর্বনাশ! কীডনিতে পাথর! বুঝবেন যেভাবে

Image
সার্বিক সুস্থতা বজায় রাখতে কিডনির যত্ন নেওয়া অত্যন্ত জরুরি। আর কিডনি ভাল রাখতে আমাদের কিছু নিয়ম অবশ্যই মেনে চলা উচিৎ। আমাদের শরীরের রক্ত পরিশোধনের অঙ্গ কিডনি। শরীরে জমে থাকা অনেক রকম বর্জ্যও পরিশোধিত হয় কিডনির মাধ্যমে। কিডনির নানা সমস্যার মধ্যে সবচেয়ে বড় সমস্যা হচ্ছে কিডনিতে পাথর হওয়া।  কিডনিতে পাথর জমার বা তৈরি হওয়ার প্রকৃত কারণ এখনও জানা যায়নি। তবে কিছু কিছু বিষয় কিডনিতে পাথর তৈরির কারণ বলে বিবেচিত হয়। যেমন- ১। শরীরে জলের স্বল্পতা। কম জল খাওয়া। ২।একাধিকবার কিডনিতে ইনফেকশন হওয়া এবং এর জন্য যথাযথ চিকিত্‍সার ব্যবস্থা না করা। ৩। অত্যাধিক পরিমাণে দুধ, পনির বা দুগ্ধজাত খাবার খাওয়ার অভ্যাস। ৪। শরীরে ক্যালসিয়ামের মাত্রাতিরিক্ত আধিক্য। কিডনিতে পাথর হওয়ার উপসর্গ- ১। রক্তবর্ণের প্রসাব। ২। বমি বমি ভাব। অনেক সময় বমিও হতে পারে। ৩। কোমরের পিছন দিকে ব্যথা হওয়া। এই ব্যথা তীব্র তবে সাধারণত খুব বেশি ক্ষণ স্থায়ী হয় না। ব্যথা কিডনির অবস্থান থেকে তলপেটেও ছড়িয়ে পড়তে পারে।

করোনাকালে ভরসা আয়ুর্বেদ! বাড়াবে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা

Image
ক্রমশ বেড়ে চলেছে করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা ।এই মারণ ভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াই করতে এখনো কোনো প্রতিষেধক আসেনি। তাই রক্ষাকবচ হিসেবে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানো জরুরী। এই করোনাকালে আয়ুর্বেদিক পদ্ধতির দাওয়াই শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা তৈরিতে ভূমিকা রাখতে পারে। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিতে সাড়ে পাঁচ হাজার বছরের পুরনো আয়ুর্বেদিক পন্থা নিরুপায়ের উপায় করে দিতে পারে। আয়ুর্বেদে রয়েছে তিনটি চর্যাপদ্ধতি। এর মধ্যে দৈনন্দিন জীবনধারার নিয়মকে বলা হয় ‘দিনচর্যা’। যেমন সূর্যোদয়ের আগে বিছানা ত্যাগ, শৌচকর্ম সারা, দন্তধাবন (নিম, বকুল, বাবুল, করঞ্জ, খয়ের ইত্যাদির নরম ডাল দিয়ে দাঁত মাজা), নস্য (নারকেল তেল বা তিল তেল দুই ফোঁটা নাকে দেওয়া), কবল/কুলকুচি (তিল তেল, ত্রিফলা ক্বাথ ইত্যাদির দ্বারা), সারা শরীরে খাঁটি তেল দিয়ে মালিশ করা, ব্যায়াম করা, স্নান ও পরিষ্কার বস্ত্রধারণ। অন্যদিকে রাত্রিকালীন জীবনধারার নিয়মকে বলা হয় ‘রাত্রিচর্যা’। যেমন সূর্যাস্তের পর খাদ্যগ্রহণ, আহারের পর একশো কদম পায়ে হাঁটা, পায়ের পাতায় তেলমালিশ ইত্যাদি। আর সর্বশেষ ঋতুভিত্তিক জীবনধারার নিয়মকে বলা হয় ‘ঋতুচর্যা’। এই তিন